নিজস্ব প্রতিনিধি।
কক্সবাজার শহরে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, সোমবার (২৯ জানুয়ারি) মধ্যরাতে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের লিংকরোড এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়েছে। গ্রেপ্তার মো. তারেক (১৯) কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম কুতুবদিয়া পাড়ার বাসিন্দা মো. হামিদের ছেলে।
মামলার নথির বরাতে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে টেকনাফ থেকে বাবার সঙ্গে কক্সবাজার শহরে বড় ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে আসে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী। গত ২৪ জানুয়ারি রাতে শহরের কুতুবদিয়া পাড়ায় পারিবারিক আয়োজনে সামাজিক অনুষ্ঠান চলাকালে তাকে নিজের এক বড় ভাই বসতভিটার টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে পাঠান। এ সময় স্থানীয় তারেক ওই স্কুলছাত্রীকে মুখ চেপে ধরে তুলে নিয়ে যায়। পরে সৈকত সংলগ্ন ঝাউবাগানে তাকে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় ওই স্কুলছাত্রী চিৎকার করলে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারেককে হাতেনাতে ধরে ফেলে। এরপর ধর্ষক তারেককে ভুক্তভোগী ছাত্রীর ভাইয়ের বাড়িতে নিয়ে আসে।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, স্থানীয়রা জানিয়েছে, হাতেনাতে ধরা পড়া তারেক ঘটনার পরপরই ধর্ষণের কথা স্থানীয়দের কাছে স্বীকার করে। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বড় ভাইয়ের বাড়ি থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে অভিযুক্ত যুবক ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বড় ভাইয়ের স্ত্রীসহ স্বজনদের প্রাণনাশসহ নানাভাবে হুমকি প্রদান করে।
এদিকে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্বজনরা গত ২৫ জানুয়ারি সকালে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে বলে জানান সাজ্জাদ হোসেন। এ ঘটনায় গত ২৭ জানুয়ারি ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মো. তারেককে আসামি করে কক্সবাজার সদর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
লে. কর্নেল সাজ্জাদ বলেন, ঘটনাটি র্যাব অবহিত হওয়ার পর মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। সোমবার মধ্যরাতে অভিযুক্ত আসামি কক্সবাজার সদর উপজেলার লিংকরোড এলাকায় আত্মগোপন অবস্থায় থাকার খবর পায় র্যাব। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে গ্রেপ্তার আসামিকে কক্সবাজার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
পাঠকের মতামত